ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, যানজট ছাড়িয়েছে বনানী পর্যন্ত
<![CDATA[
গাজীপুরের টঙ্গী হোসেন মার্কেট থেকে মিলগেট পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়মুখী লেনে যানজট। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর থেকে এ যানজট ছাড়িয়েছে বনানী পর্যন্ত।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে খিলক্ষেত-উত্তরা হয়ে গাজীপুরমুখী যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এ সড়ক ব্যবহার না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে এ ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার সড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু আজকের অবস্থা আরও খারাপ। আজ ভোর থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।
আরও পড়ুন: খিলক্ষেত-গাজীপুর মহাসড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির
মির আহসান নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, সকাল থেকে জ্যামে একই জায়গাতে বসে আছি। জানি না অফিসে আজ যেতে পারব কি না।
দীপা নামে আরেকজন জানান, সকাল ৭টাই মহাখালী থেকে রওনা দিয়েও আমি ৩ ঘণ্টায় আবদুল্লাহপুর পৌঁছাতে পারিনি। আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকতে হবে বুঝতে পারছি না।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানবাহনের দীর্ঘসারির সৃষ্টি হয়েছে। এর বাইরে মিলগেট এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে লেন সংকোচন হয়ে পড়ায় যান চলাচলে ধীরগতি তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
]]>