তাইওয়ানের আকাশে ফের চীনা যুদ্ধবিমান, উত্তেজনা চরমে
<![CDATA[
তাইওয়ানের আকাশসীমায় আবারও চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের দাবি করেছে তাইপে। সেই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির চারপাশে নৌটহল দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পাল্টা জবাবে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে চীনা বিমানবহরকে তাড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাহিনী। অন্যদিকে বেইজিং তাইপের চারপাশে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।
স্থানীয় সময় শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে হঠাৎই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে চীনের অন্তত ১১টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। অনুপ্রবেশের পরই চীনা বিমানকে সতর্কবার্তা পাঠায় তাইপে। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বিমানগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়।
একপর্যায়ে তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমান ধাওয়া দিলে চীনা বিমানবহর আকাশসীমা ত্যাগ করে বলে দাবি তাইপের। যুদ্ধবিমান ছাড়াও চীনা নৌবাহিনী স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির চারপাশে যুদ্ধজাহাজের টহল চালায় বলেও দাবি করেছে প্রতিরক্ষা বিভাগ।
এদিকে শি জিনপিং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাইপের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত আছে বেইজিং। চীনা প্রেসিডেন্ট যেকোনো সময় যুদ্ধের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: শি’র নতুন মেয়াদে গুরুত্ব পাচ্ছে তাইওয়ান
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে চীন। তবে হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনই অভিযান না চালালেও ভবিষ্যতে বেইজিং সেনা অভিযান চালাবে–এ বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত।
তবে যুদ্ধ শুরু করলেও তাইওয়ানে পরমাণু হামলা চালাবে না বলে দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে চীন। যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর–পেন্টাগন বলছে, নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে বেইজিং। এ বিষয়ে চীন স্বচ্ছতা অবলম্বন করছে না বলেও অভিযোগ পেন্টাগনের।
নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অধিভুক্ত অঞ্চল হিসেবে দাবি করে আসছে। সেই লক্ষ্যে তাইপের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ প্রতিনিয়ত বাড়িয়েই চলেছে শি জিনপিং সরকার। ভবিষ্যতে চীনা সামরিক অভিযানের শঙ্কার কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে নিজেদের সামরিক খাত শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে তাইওয়ান।
]]>




