তাপপ্রবাহ: ভারতে বেঁচে থাকাই হতে পারে দুঃসাধ্য
<![CDATA[
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে উদ্বেগজনকহারে। ভারতে এর প্রভাব বেশ দৃশ্যমান। গত কয়েক দশকে দেশটিতে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু তাপপ্রবাহজনিত কারণে। এবার বিশ্বব্যাংকের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই ভারত হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের প্রথম স্থানগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে তাপপ্রবাহ ছাড়াতে পারে সহনশীলতার মাত্রা।
‘ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস ইন ইন্ডিয়া’স কুলিং সেক্টর’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য অঞ্চলের তুলনায় ভারত আগেভাগেই উচ্চ তাপমাত্রার সম্মুখীন হচ্ছে এবং তা দীর্ঘস্থায়ীও হচ্ছে। আগামীতে দেশটিতে তাপপ্রবাহ এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যা সহনশীল বা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আদর্শ নয়।
আরও পড়ুন: পলিটিকোতে প্রধানমন্ত্রীর নিবন্ধ /জলবায়ু চুক্তি অনুসরণ করার এখনই সময়
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারত ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির করে দিয়েছিল। রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর মার্চ মাসের তাপমাত্রা ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম।
কেরালা সরকার-বিশ্বব্যাংক আয়োজিত দুই দিনের ‘ইন্ডিয়া ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস মিট’-এর সময় এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ভারতের সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কথা উল্লেখ করে জলবায়ু বিজ্ঞানীদের দীর্ঘকাল ধরে দিয়ে আসা ভবিষ্যদ্বাণী বা সতর্কতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এর আগে, ২০২১ সালের আগস্টে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেলের (আইপিসিসি) ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল যে, ভারতীয় উপমহাদেশ আগামী দশকে আরও ঘন ঘন এবং তীব্র তাপপ্রবাহের শিকার হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা
এছাড়া কার্বন নিঃসরণ বাড়তে থাকলে ২০৩৬-৬৫ সালের মধ্যে ভারতজুড়ে তাপপ্রবাহ ২৫ গুণ বেশি স্থায়ী হতে পারে এবং এতে দেশটির অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করে আইপিসিসি।
]]>




