থমকে আছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ!
<![CDATA[
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের পাশাপাশি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া হয় চট্টগ্রামের আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু আগামী মার্চে ট্যানেল চালুর তোড়জোড় চললেও পুরোপুরি কাজ শেষ না হওয়ায় থমকে আছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দুটি প্রকল্প একসঙ্গে চালু না হলে টানেলের পুরোপুরি সুফল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে বন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসনের পাশাপাশি আমূল পরিবর্তন ঘটবে বন্দর নগীরর আমদানি রফতানি বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়। এটি যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও। শুরুতে যানজট নিরসনে টানেলের সঙ্গে মিল রেখে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নেয়া হয়। কিন্তু আগামী মার্চে টানেল চালুর প্রস্তুতি নিলেও মাত্র ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের।
দুটি প্রকল্প এক সঙ্গে চালু না হওয়ায় টানেলের সুফল পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এ জন্য নানা প্রতিষ্ঠানের বাধাকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: মাঝপথে নকশা পরিবর্তনে বাড়ছে ব্যয়
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজী হাসান বিন শামস বলেন, তিন মাস পর আগামী জুনে নিমতলা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত একাংশ ১০ কিলোমিটার চালু করা সম্ভব হবে।
নানা সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও ভুল নকশার কারণে মাঝপথে থমকে যাচ্ছে বড় প্রকল্পগুলো বলে জানান নগর পরিকল্পনাবিদ (স্থপতি) আশিক ইমরান।
টানেলের মুখ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি যৌথভাবে করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র্যাঙ্কিন।
]]>