দখলদারদের কবলে কীর্তনখোলার দুই পাড়
<![CDATA[
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ৪ হাজার ১৯২ জন দখলদার। আর নদীতে সংযোগ দেয়া স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা-আবর্জনায় বিষাক্ত হয়ে উঠছে নদীর পানি। পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রশাসন সোচ্চার না হলে কীর্তনখোলা নদী তার চিরচেনা রূপ হারাবে। আর দখলদারদের তালিকা না পাওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না বলে দাবি প্রশাসনের।
বরিশাল নগরী ঘিরে বহমান কীর্তনখোলা নদীর দুই পাড়ে ভরাট আর দখলের চিত্র। এসব জমিতে জমজমাট বালুসহ বিভিন্ন ব্যবসা। আর নদীর সঙ্গে সংযোগ দেয়া স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ঘিরে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হয়ে উঠছে পানি।
স্থানীয়রা বলছেন, দখল আর দূষণে কীর্তনখোলা নদী দিন দিন সরু হচ্ছে। নদীকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বরিশালের তথ্যমতে, এ অঞ্চলে মূল নদী আছে ২৫টি। এ ছাড়া শাখা নদীসহ মোট নদীর সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। এসব নদীর মধ্যে শুধু কীর্তনখোলা নদীর দুপাড় গত ৪০ বছরে দখল করেছে প্রায় ৪ হাজার ১৯২ জন প্রভাবশালী। ৩৫টি নদীর হিসাব করলে দখলদারদের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, প্রশাসন দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে কীর্তনখোলাসহ প্রায় সব কটি নদী তার চিরচেনা রূপ হারাবে।
আরও পড়ুন: খুলল দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রাণের ‘মধুমতি সেতু’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বারবার দখলদারদের তালিকা করার উদ্যোগ নিলেও এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ দখলদারদের তালিকা না দেয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
২০২১ সালে উচ্চ আদালত সিএস মৌজা ম্যাপ ধরে নদীর সীমানা নির্ধারণ করার আদেশ দিলেও এখনও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
]]>