দাগনভূঞায় কলা চাষে বছরে ৩ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা
দাগনভূঞা | তারিখঃ October 28th, 2022 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 9 বার
দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>
দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামে কলা চাষে বছরে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় করার স্বপ্ন দেখছেন চাষী মোহাম্মদ ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ। কম খরচে ভালো ফলন ও লাভজনক হওয়ায় কলা চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন এই চাষী। এই প্রথম উন্নত জাতের কলা চাষ করে প্রশংসা অর্জন করেছেন তিনি। বাগান থেকে প্রতিদিন অনেকেই কিনে নিচ্ছেন কলা ও গাছের চারা। এতে আগ্রহ বাড়ছে বেকার যুবক ও চাষিদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খালি জায়গাকে আবাদি করার জন্য গতবছর উন্নত জাতের কলার চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ করেন কৃষক ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ। ৩৩ শতাংশ জায়গায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০০ কলা গাছ রোপণ করেন। মেহের সাগর ও রঙিলা সাগর চাষ করে প্রতিমাসে আয় করছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এতে প্রতিবছর তিনি আয় করবেন ৩ লাখ টাকার উপরে।
পাশাপাশি পেঁপেসহ চাষাবাদ করছেন বিভিন্ন ধরনের সবজি। রোপণ করেছেন ফলের গাছ। কৃষিবিদের পরামর্শে কলায় ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগবালাই ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা করেন। এখন বাজারমূল্য পাচ্ছেন ভালো। এতে ক্রেতার চাহিদাও বেশি বলে জানান সাঈদ।
মোহাম্মদ ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ বলেন, ‘যে কোনো ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ বেশি হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এতে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। অন্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি। বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘উপজেলায় এ ধরনের কলার চাষাবাদে সাড়া পড়েছে ব্যাপকভাবে। দাগনভূঞা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে নতুন উদ্যোক্তাদের। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে ১১ মাসের মধ্যে কলা কাটা যায়। এর মধ্যে কলা পাওয়া যায় ৩০০ থেকে ৩২০টি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘কৃষি বিভাগের তরফ থেকে তাদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কোনো রোগবালাই না দেখা দেওয়ায় চলতি মৌসুমে কলার বাম্পার ফলন হতে পারে।’