দিনাজপুরে ইজতেমাফেরত যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দাদি-নাতনি নিহত
<![CDATA[
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইজতেমাফেরত যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার সময় দাদি-নাতনি নিহত হয়েছেন। এ সময় শিশু ও দুই নারী আহত হন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় উপজেলার দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হরিপাড়া-বলগাড়ী নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের বেশাইন গ্রামের বিজয় চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী রতন বালা (৫০) ও নাতনি তিথি রানী (১৭)। তিথি কাঁচেরচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বিধান চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। আহতরা হলেন: একই পরিবারের অরুণ বালা, করুণা রানী ও অপর্ণা রানী (৭)।
তারা সবাই ঘোড়াঘাট থেকে ভ্যানে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামে তিথি রানীর চাচা নির্মল চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকার টঙ্গী থেকে বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লিবাহী একটি বাস দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সামনে থাকা বালুবোঝাই একটি ট্রাক্টরকে ওভারটেক করার সময় বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এর আগে ধাক্কা দিলে একটি ভ্যানও রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়। এ সময় ভ্যানে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত
নির্মল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমার নাতির বিয়েতে সকাল ১০টার দিকে তারা নবাবগঞ্জ আসছিলেন। এ সময় বাসের ধাক্কায় তারা সবাই আহত হয়। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি দুজনের মৃত্যু হয়েছে।’
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অপর তিনজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আর অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোলায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, দুর্ঘটনায় পতিত বাস, ট্রাক্টর ও ভ্যান আমাদের হেফাজতে রয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
]]>




