দীর্ঘ পাঁচ বছরে আখের দাম বেড়েছে মাত্র ৪০ টাকা
<![CDATA[
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রতি মণ আখের দাম মাত্র ৪০ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। এদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মণপ্রতি আখের দাম আরও ২০ টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় শুধু গত মৌসুমে নাটোর জেলায় ২ লাখ মেট্রিক টন আখের উৎপাদন কম হয়। কয়েক বছর ধরে ব্যর্থ হলেও আগামী মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশা চিনিকলগুলোর।
এর আগে প্রতি মণ আখ ১৪০ টাকা দরে কিনত চিনিকলগুলো। ৪০ টাকা বৃদ্ধি হওয়ায় মণপ্রতি আখের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা। যদিও মণপ্রতি ২৪০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল আখচাষি ফেডারেশন।
চিনিকলগুলোতে আখ সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর দাম বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রতি মণে ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন।
আরও পড়ুন: হতাশ আখ চাষি, সংকটে চিনিকল
এদিকে, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় গত মৌসুমে নাটোর জেলায় ২ লাখ মেট্রিক টন আখ উৎপাদন কম হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চিনিকলগুলো মাড়াই করতে ব্যর্থ হয়। তবে দাম বাড়ানোর ফলে কৃষকদের মধ্যে আখ চাষের আগ্রহ আবারও বাড়ছে।
এতদিন চিনিকলগুলো ব্যর্থ হলেও আগামী মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নিয়মিত চাষিদের ঋণের বিনিময়ে উন্নত জাতের বীজ, সার সরবরাহ করছি।’
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে আখচাষে লাভবান কৃষক
এদিকে দিন দিন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আরও ২০ টাকা বাড়ানোর দাবি জানালে প্রতিবছর দফায় দফায় পূরণের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ক্রমান্বয়ে দামটা বাড়াব।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আগামী মাড়াই মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
]]>