বিনোদন

দুদকের মামলায় পরিমল দম্পতি কারাগারে

<![CDATA[

অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক দুটি দুর্নীতির মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিমল কুমার কুরী ও তার স্ত্রী সোমা সাহাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পরিমল কুমার কুরী ও তার স্ত্রী সোমা সাহা জামিন চেয়ে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হন।

শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ একেএম ফজলুল স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম খোকন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আমির হোসাইন বাদী হয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিমল কুমার কুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। কুরীর বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ টাকার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড, বাবার যাবজ্জীবন

অন্যদিকে, গত ৭ জুন রাজশাহী অঞ্চল দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে পরিমল কুমার কুরীর স্ত্রী সোমা সাহার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পরপরই পরিমল কুমার কুরী ও তার স্ত্রী সোমা সাহা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন লাভ করেন। জামিনের শর্তানুযায়ী নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা ছিল উচ্চ আদালতের।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে প্রকৌশলী পরিমল কুমার কুরী ও তার স্ত্রী সোমা সাহা রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে স্বামী ও স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরও পড়ুুন: মোনালিসা হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন

জানা গেছে, পরিমল কুমার কুরীর বাবার নাম পশুপতি কুরী। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাট দৌলতপুর গ্রামে তার বাড়ি। তবে বর্তমানে পরিবারসহ ঢাকার মিরপুর-২ অফিসার্স কোয়ার্টারে বসবাস করেন তিনি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, পরিমল কুমার কুরী জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। ২০২০ সালের শুরুতে পদোন্নতি পেয়ে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হন।

রাজশাহীর একটি আবাসিক এলাকা উন্নয়নে মাটি ভরাট না করেই কয়েক কোটি টাকার বিল দেন ঠিকাদারকে। কুরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!