বিনোদন

দুদিন আগেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা

<![CDATA[

আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা শুরু হয়ে গেছে। পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। শেষ মুহূর্তে এসেও চলছে ব্যাপক প্রচারণা।

গণসমাবেশের দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর থেকেই সমাবেশস্থল কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে।

রাতে সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই পাটি-পলিথিন বিছিয়ে সেখানে বসে পড়েছেন রাত কাটানোর জন্য। অন্যান্য নেতাকর্মীদের পাশাপাশি মহিলা দলের নেত্রীরাও টাউন হল মাঠে অবস্থান নিচ্ছেন। তারা বলছেন, কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা তৈরির আগেই সমাবেশস্থলে চলে এসেছেন, গণসমাবেশ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কুমিল্লাতেই অবস্থান নিবেন।

এদিকে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) থেকেই কুমিল্লায় অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে গণসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন তারা।

২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ইতোমধ্যে ১০টি শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে গণসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। যদিও দলের নেতারা বলছেন, শর্তের বিষয়টি মাথায় নিচ্ছি না, অনুমোদন পেয়েছি- এটাই বড় কথা। শর্তের বেড়াজালে জনতার জোয়ার আটকে রাখা যাবে না।

আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার রাতে দলের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে টাউন হল মাঠের সমাবেশ প্রাঙ্গণে এসে হাজির হন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এসময় তিনি বলেন, কুমিল্লায় একটি বৃহৎ গণসমাবেশের লক্ষ্যে আমাদের সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের টিম লিডার বরকত উল্লা বুলু নেতা-কর্মীদের সাথে সমন্বয় করছেন। আমরা দুদিন আগেই কুমিল্লায় অবস্থান নিয়েছি। সমাবেশ সফল করে, সরকার পতনের ডাক দিয়েই আমরা এখান থেকে ফিরব। মানুষের স্রোত কুমিল্লামুখী আসতে শুরু করেছে। ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় জনসমুদ্র হবে।

কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কথা হয় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সাবেরা আলাউদ্দিন হেনার সাথে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবীতে আমাদের এই গণসমাবেশ। ইতোমধ্যে আমাদের নেত্রীবৃন্দ কুমিল্লায় আসতে শুরু করেছেন। যারাই কুমিল্লায় আসছেন আমরা তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে থাকা ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছি।

আরও পড়ুন: অনুমতি না দিলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে: গয়েশ্বর

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, ৫টি ইউনিট নিয়ে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কুমিল্লার পাশাপাশি চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতৃবৃন্দ আগে থেকেই তাদের থাকার জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছেন। সুতরাং কেউ আগে চলে আসলেও তাদের থাকা-খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকেও ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষের খাওয়া ও নাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস-আগ্রহ দেখে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, কুমিল্লার গণসমাবেশ সফল ও সার্থক হবে। আমাদের সকল প্রস্তুত সম্পন্ন আছে।

এদিকে কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে কোনো পরিবহন ধর্মঘট থাকছে না। দলটির অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলেও কুমিল্লায় কোনো ধর্মঘট ডাকা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ।

বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দফায় পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, পরিবহন মালিক বা শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে কিংবা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। সংগঠনের কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত কোথাও ধর্মঘটের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পরিবহন মালিক সমিতি একটি স্বাধীন সংগঠন। আমাদের দাবি-দাওয়া আছে এটা ঠিক তবে আমরা এখন এগুলো সামনে আনতে চাই না।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!