‘দুধ দেয়া পাঁঠা’ পর্যবেক্ষণে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর
<![CDATA[
প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ছাগী (মা ছাগল) দুধ দিলেও গাইবান্ধায় ‘দুধ দিচ্ছে একটি পাঁঠা’। কেবল দুধ নয়, প্রজননও করছে পাঁঠাটি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের চকচকা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই একটি বাগানে গাছের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে পাঁঠাটি। সেটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। এ সময় উপস্থিত লোকজনের সামনে মালিক পাঁঠার বাট থেকে প্রায় আধা কেজি দুধ দোহন করেও দেখান।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, পাঁঠাটি প্রজনন কাজে ব্যবহার এবং একইসঙ্গে দুধ দেয়ার বিষয়টি তাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান সময় সংবাদকে জানান, একজন ভেটেরিনারি সার্জনকে সঙ্গে নিয়ে আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছি। পাঁঠাটি দিয়ে যেসব ছাগীকে প্রজনন করা হচ্ছে ওই ছাগীগুলো গর্ভধারণ করে কিনা এবং গর্ভধারণকৃত ছাগীগুলো ভবিষ্যতে কী ধরনের বাচ্চা দেয় তা দেখার জন্য আমরা রেকর্ড কিপিং শুরু করেছি। একই সঙ্গে এ দুধ স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাওয়ার উপযোগী কিনা তাও পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দুধ দিচ্ছে দুই বছরের বকনা বাছুর
পাঁঠার মালিক মোনারুল মিয়া সময় সংবাদকে জানান, তিনি গরুর ব্যবসা করেন (গরু ব্যাপারী)। ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে গিয়েছিলেন। সেখানে পথের ধারে এক বৃদ্ধার কাছে পাঠাটিকে দেখতে পান। পরে তিনি ৩৫ হাজার টাকায় পাঁঠাটি ক্রয় করেন। পাঁঠা দুধ দেয় বিষয়টি প্রথম দেখায় অবাক হয়েছিলেন তিনি। তিনি আরও জানান, পাঁঠাটি প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ দেয়।
পাঁঠা দেখতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, পাঁঠা দুধ দেয় এমন ঘটনা তাদের জীবনে প্রথম দেখা। বিষয়টি অলৌকিক বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
অন্য একজন বলেন, পাঁঠার দেয়া দুধ দেখতে গাভীর দুধের মত হলেও এ দুধ অনেক সুস্বাদু।
]]>