দুয়ারে স্বপ্ন হাজির, মেট্রোরেল উদ্বোধন বুধবার
<![CDATA[
দুয়ারে স্বপ্ন হাজির। অপেক্ষা আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক ঘণ্টার। এরপরই নতুন দিগন্তের উন্মোচন। নতুন ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে কোটি বাঙালি। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। নগরে যুক্ত হচ্ছে নতুন দিগন্ত।
মেট্রোরেল যানজটবিহীন যাত্রার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে রাজধানীবাসীর। এতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। আর মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে যাওয়া যাবে ৩৮ মিনিটে।
বিশেষ দিনটি ঘিরে আনন্দের যেন শেষ নেই। সবখানে সাজ সাজ রব। আনন্দ, গর্ব আর উদ্যাপনের ত্রিমুখী আনন্দে শামিল হতে অনেকেই পরিবার ও সন্তান নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন পথে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছেন স্বপ্ন-বাহনের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল অনন্য মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ জনগণ বলছেন, এ এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এমন ট্রেন ছোটবেলায় মুভিতে দেখেছেন। কখনো ভাবেননি এমন কিছু বাংলাদেশে দেখতে পারবেন। কিন্তু আজ ঢাকার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রোরেল দেখে খুব গর্ব হচ্ছে।
অধিকাংশই বলছেন, এই মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর জীবনে আনবে গতি। আনবে স্বাচ্ছন্দ্য। সেই সঙ্গে মুক্তি দেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হওয়ার অভিশাপ থেকেও।
স্বপ্ন-বাহনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ। নিরাপত্তার জন্যও নেয়া হয়েছে নানামুখী ব্যবস্থা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষায় রাজধানীবাসী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ একটি বাহিনী করার প্রস্তাব এরই মধ্যে করা হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। এর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়, তবে তার আগপর্যন্ত আমরা আমাদের ডিএমপির পুলিশ দিয়ে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
আরও পড়ুন: ডিএমপি মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টহল পার্টি থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে। যেসব জায়গা দিয়ে ভিভিআইপিরা যাতায়াত করবেন, সেসব স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে। আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা থাকবেন।’
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও পরদিন থেকে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারবেন মেট্রোরেলে।
]]>