‘দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সজাগ থাকতে হবে’
<![CDATA[
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্স মিলনায়তনে মিউজিক কোম্পানি সঙ্গীতার আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পুজো আসে’- এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণির সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী গোষ্ঠী এ সময় হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা ও ষড়যন্ত্র করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে গত বছর কুমিল্লায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। এ বছর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দুর্গাপূজায় যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: হিমালয়ের চূড়ায় বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক
কে এম খালিদ বলেন, আগে ঈদ ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যার হিড়িক পড়ে যেত, যেটি এখন তেমন দেখা যায় না। তা ছাড়া বিভিন্ন অডিও কোম্পানি এ উপলক্ষে বিভিন্ন গানের অ্যালবাম বের করত। এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার ভাস্কর্য বা প্রতিমা তৈরি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
তিনি বলেন, যেকোনো ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে একধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং তা সব ধর্মেই রয়েছে। এটি মূলত বিশ্বাস ও সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যেই করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পুজো আসে’-এর বহুল প্রচার ও সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
সংগীতবিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা সারেগামার সিনিয়র সম্পাদক ও উপদেষ্টা রওনাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন একাত্তরের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সঙ্গীতার প্রধান উপদেষ্টা খায়রুল হাসান। মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিউজিক ভিডিওর কণ্ঠশিল্পী অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সরকারি খরচে ৬ মাসে আইনি সহায়তা পেলেন ৫৭ হাজার মানুষ
মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন এ বাবুল আর তার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন নিলয়। সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। গানটির কথা লিখেছেন প্রসেনজিৎ পূজা ওঝা। কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন শাকিল ও ভিডিওগ্রাফিতে সানি খান। গানটিতে মডেল হয়েছেন শান্তা পাল, রিয়া বর্মণ, রাইসা, আরাফাত, দেবদীপ এবং এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী।
]]>