দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে
<![CDATA[
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সক্ষমতা অর্জন ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে গত দেড় দশকে সরকারকে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারসহ অনেক কাজ করতে হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের দ্বিতীয় দিন এক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন আইন প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে সরকারকে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সাধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স আইন, সাক্ষ্য আইনের সংস্কার।
এ ছাড়াও দুর্নীতির বহুমাত্রিকতা থাকায় তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আলাদাভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, যাতে দুদকের পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া দ্রুততর ও সহজতর হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে
আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হওয়ায় পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। তিনি পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ একজন সাবেক সরকারপ্রধানের সন্তানের পাচার করা অর্থ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা দুর্নীতির জন্য নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করায় তা শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়োজিত সংস্থার লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার জন্য গৃহীত ওআইসি কনভেনশনের আওতায় প্রশিক্ষণ, তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধে উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে ইন্টাপোলের মহাসচিব জার্গেন স্টক, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত অফিসের নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি, মিশরের প্রশাসন মন্ত্রী মেজর জেনারেল আমর আদেল ও এগমন্ত গ্রুপের সভাপতি জোলিসাইল খানাইল বক্তব্য দেন। পরে আলোচকরা ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আটক ৫৪৭ জনকে মৃত ঘোষণা
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাজিন ইব্রাহিম আল কাহমুস।
এদিন সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যা থেকে পৃথিবীর কোনো দেশই মুক্ত নয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশকেও দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
]]>




