বিনোদন

দেশের অর্থনৈতিক স্বস্তি ধরে রাখতে প্রয়োজন জনমুখী উদ্যোগ

<![CDATA[

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখনো স্বস্তিতে আছে, এটা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী উদ্যাগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ বা আইডা), ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) থেকে সরকার সরাসরি ঋণ নিয়ে সরাসরি জনগণকেন্দ্রিক প্রোগ্রাম করতে পারবে। আর এটিই বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি শক্তি যে বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি অংশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সেটি দারিদ্র্যকে দমন করতে হলে সেটি প্রয়োজন।

চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছর বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।

এমন শঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, মূল্যস্ফীতি যত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে দরিদ্র জণগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদ।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ

করোনা অতিমারির ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির হিসাব-নিকাশ ওলটপালট হয়ে গেছে। এতে গত বছরের তুলনায় গোটা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি অর্ধেকে নেমে আসবে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্য খুব বেশি সুখবর দেয়নি আইএমএফ। তাই ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশে উঠে যাবে।

এ বিষয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে ওলিভিয়ার গৌরিংচাস বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০২১ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে এবার হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়াবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।

তিনি মনে করেন, ডলারের শক্তিশালী অবস্থা ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ভোগাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফের আশঙ্কা

তিনি আরও বলেন, আমাদের হিসাব বলছে ২০২২ সালে সারা বিশ্বের জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০২৩ সালে এ খরচ কিছুটা কমে ৬ এর ঘরে নামবে। তবে উন্নত বিশ্বে প্রবৃদ্ধি কমায় পুরো পৃথিবী চাপে পড়বে।

তবে সংকটে পড়ে তুলনামূলক গরিব দেশগুলোকে আরও সহায়তা দেয়া ও ঋণ আদায়ে ছাড় দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।

তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ঋণে জর্জরিত দেশগুলোকে নিয়ে ভাবছি। এখান থেকে তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জি-২০ জোট ভুক্তদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও আমি বিষয়টি বলেছি। কিভাবে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতা দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তার উপায় খোঁজা হচ্ছে। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!