দেশে উত্তোলনযোগ্য মজুত গ্যাস ৩২ লাখ কোটি ঘনফুট
<![CDATA[
দেশে মজুত ৩২ লাখ কোটি ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস। এর মধ্যে টেংরাটিলা এলাকাতেই পড়ে আছে এক লাখ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এই গ্যাসক্ষেত্রের পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়া হলে অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্যাস জ্বলছে টেংরাটিলার ঘরে ঘরে। তবে এই গ্যাসের জন্য কোনো মূল্য দিতে হচ্ছে না। ১৭ বছর ধরে বিনামূল্যের এই গ্যাসপ্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছে বিদেশি কোম্পানি নাইকো ও দেশি প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। ২০০৩ সালে সরকার গ্যাস উত্তোলনের জন্য কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো ও বাপেক্সকে কূপখনন ও গ্যাস উত্তোলনের অনুমতি দেয়।
এরপর নাইকো খননকাজ শুরু করলে তাদের অদক্ষতায় ২০০৫ সালের জানুয়ারি ও জুন মাসে পরপর দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে টেংরাটিলাসহ আশপাশের ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম।
সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কূপ খননের জন্য মাঠ রেঞ্জ বা ডেপথ যা নির্ধারণ করা হয় তা অনেক সময় আশঙ্কাজনকভাবে বিবেচনা করা হয়। তারপরও সাবধানতা ফেল করলে বিস্ফোরণ ঘটে।
১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি দেশ স্বাধীনের পর সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের হাতে ন্যস্ত হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস এই কূপ থেকে উত্তোলন হয়। পরে ১৯৮৬ সালে এই কূপটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চীনের অনুরোধে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়েছে রাশিয়া
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, ওই এলাকায় এক লাখ কোটি ঘনফুট গ্যাস মজুতসহ দেশে ৩২ লাখ কোটি ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত আছে।
মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, সিলেট গ্যাসফিল্ডের গ্যাস যখন শেষ হতে যাবে, আশা কর তখন আমাদের নতুন রিজার্ভও যুক্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৪৬টি গ্যাস কূপ খনন, পুনর্খনন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দৈনিক ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তিনটি কোম্পানি কাজ করছে।
]]>




