দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না: অ্যাডভোকেট কামরুল
<![CDATA[
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে তত্ত্বাবধায়কের মতো সরকার আর আসবে না।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের শ্রম ও কল্যাণ কেন্দ্র মাঠে সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী বিজয় মেলায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে তারা নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরা চায় জিয়ার মতো আরেকটি ক্ষমতা পরিবর্তন হয় কি না। এরশাদ জিয়ার কায়দায় পরিবেশ ঘোলাটে করে ক্ষমতায় আসতে চায়।
বিএনপি মিথ্যাচার করে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের মাটিতে কখনো হতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে: কামরুল ইসলাম
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশির কাছে তারা নালিশ করে। বিদেশিরাও কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানছেন না। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে সাবেক এ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা লন্ডন থেকে বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আর আমরা চাই স্মার্ট বাংলাদেশ বানাতে।’
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন। নির্বাচন কমিশন বাতিল হবে না। সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আপনারা আসবেন। না এলে আপনাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সব অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কামরুল ইসলাম
অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। বিরোধী দলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সদস্য ও আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন মঈন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের আহমেদ। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান সরকারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>