নভেম্বরে পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ
<![CDATA[
আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বর্তমানে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন ৬১ বছর বয়সী জেনারেল জাভেদ বাজওয়া। আগামী ২৯ নভেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। আশা করা হচ্ছে, এরপরই নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সে অধিকার অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরে যথাসময়ে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এ দিকে সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের এ মন্তব্যের পর ইমরান খান দাবি করে বলেন, দেশটিতে আগামী নির্বাচনের পর নতুন সরকার কর্তৃক পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগ করা উচিত।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দায়িত্বে থাকাকালে চারবার সেনাপ্রধান নিয়োগ করেছেন। শেহবাজ শরিফও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নভেম্বরে কাজটি সম্পন্ন করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যা /পাকিস্তানের জন্য আবারও দুঃসংবাদ
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানে স্পষ্টভাবে সেনাপ্রধান নিয়োগের নীতির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ইমরান খান এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। সংবিধান ও সেনাবাহিনীর প্রতি সেনাপ্রধানের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের সুযোগ নেই।
খাজা আসিফ আরও বলেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন ইমরান খান। তিনি তার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য পাকিস্তানে নাশকতা সৃষ্টি করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না। রাজনীতি ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা উচিত নয়।
ইমরান খানকে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা বন্ধ করতে সতর্ক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। কারণ হিসেবে বলা হয়, এ বিতর্ক ভারতকে উৎসাহিত করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
]]>




