নারায়ণগঞ্জে আবাসিক এলাকায় ঝুটগুদামে মৃত্যুঝুঁকি!
<![CDATA[
নারায়ণগঞ্জে আবাসিকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মবহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে ঝুটের ব্যবসা। যত্রতত্র গড়ে ওঠা ঝুটের গুদামগুলোতে প্রায় সময় ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, জেলা সদরের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী ও সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডকে কেন্দ্র করে গত তিন দশক ধরে বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এবং পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে গার্মেন্টস ওয়েস্টেজ বা ঝুট ব্যবসা। শহরের আমলাপাড়া, উকিলপাড়া, গলাচিপা, নন্দীপাড়া, মাসদাইর, নাগবাড়িসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ঝুটের গুদাম। বিশেষ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের পাশে চাঁনমারি, সস্তাপুর, জালকুড়ি ও কুতুবপুর এলাকায় রয়েছে শত শত ঝুটের গুদাম।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঝুটের গুদাম রয়েছে। কোনো গুদামে রাখা হয়নি অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী।
আরও পড়ুন: শীতকালে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
স্থানীয়দের অভিযোগ, অল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে গার্মেন্টস কারখানা থেকে ঝুট নামানো থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাসী এবং অপরাধী গ্রুপ। রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় প্রতিবাদ করেও আবাসিক এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব ঝুটের গুদাম সরানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড রোধে বিজিএমইএ’র ১০ সতর্কবার্তা
গত ২৪ মার্চ সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় ঝুটপট্টির দশটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাশের তিনটি ছয় তলা ভবন পুড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবন তিনটির তৃতীয় তলা থেকে ওপর তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্ল্যাটের প্রায় সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০টি পরিবার। এ ঘটনার পর গত ছয় মাসে লিংক রোডের জালকুঁড়ি এলাকায় বিভিন্ন ঝুটের গুদামে আরও বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
আবাসিক এলাকায় অগ্নিঝুঁকির বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ সময় সংবাদকে বলেন, এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের অগ্নিকাণ্ড থেকে ঝুঁকিমুক্ত করতে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
]]>