খেলা

নিখোঁজদের নিয়ে র‌্যাবের শঙ্কা হিজরতকারীরা আনসার আল-ইসলামের সদস্য

<![CDATA[

বাড়ছে নিখোঁজের নামে হিজরত। সম্প্রতি সারা দেশে নিখোঁজ হয়েছেন ১৬ তরুণ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পরিবারের দেয়া ভাষ্যমতে, উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কথিত হিজরত বা অজানার উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছেন তারা। দেশের পাশাপাশি ভারত, আফগানিস্তান ও সৌদি আরব এখন তাদের গন্তব্য। অপরাধ বিজ্ঞানীরা জানান, ধর্মের প্রতি দুর্বল তরুণদের জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করতে হিজরত পরিভাষাটি ব্যবহার করছে উগ্রবাদী সংগঠনগুলো।

‘মোরা মুসলিম চিরবীর। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজি। জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে মরতে চাই।’ গত আগস্টে পরিবারের উদ্দেশ্যে এ চিঠি লিখে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হন ভিক্টোরিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আস-সামি। সামির সঙ্গে নিখোঁজ হন আরও ৬ জন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী শাকির বিন ওয়ালীর প্ররোচনায় হিজরত করেছেন তারা। আর সারা দেশে হদিস মিলছে না মোট ১৬ জনের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা হিজরতকারীরা আনসার আল-ইসলামের সদস্য।

আরও পড়ুন: মগজে জঙ্গিবাদ

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সময় সংবাদকে বলেন, পরিবার থেকে যে তথ্যগুলো আমরা পেয়েছি, তাদের যে কার্যক্রম গতিবিধি বিশ্লেষণ করে আনসার আল-ইসলামের প্রতি আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জঙ্গিদের হিজরতের গন্তব্য এখন বিদেশ। গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের চার জঙ্গি সিলিন্ডার দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করে সীমান্তে টহলরত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানে হিজরত করতে চেয়েছিল। আগের বছর মে মাসে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে মুহাজির হিসেবে রওনা হয়ে আটক হন ১৭ জেএমবি সদস্য, সঙ্গে নেন ৯২২ ডলারও। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হিজরত করতে গিয়ে ময়মনসিংহে আটক হন আরও চার জেএমবির সদস্য। এ দলে ছিলেন এক নারী সদস্যও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, ধর্মীয় গুরুত্ব থাকার কারণে হিজরত পরিভাষাটির অপব্যবহার করে তরুণদের একটি বড় অংশকে বিভ্রান্ত করে দলে ভিড়িয়েছে উগ্রবাদী সংগঠনগুলো।

তিনি আরও বলেন, হিজরত শব্দটি নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা আছে বা আলাদা ধারণা পোষণ করে। সেই জায়গা থেকে তারা (জঙ্গি) এ শব্দগুলোকে পুঁজি করে মানুষকে আকৃষ্ট করতে চায়।

হিজরতকে জঙ্গি নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ উল্লেখ করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ বলেন, হঠাৎ এ ধরনের নিখোঁজ, জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির আভাস দিচ্ছে।

তিনি বলেন, হিজরত হচ্ছে রেডিক্যালাইজেশনের (মৌলবাদ) একটা প্রসেস। যেটি জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো তাদের দলে ভেড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। ঘটনা যেগুলো ঘটেছে, তার মানে তাদের দলে ভেড়ানোর যে প্রস্তুতি, তারা সেটি অ্যাক্টিভেট করেছে। এটি সক্রিয়ভাবে করার চেষ্টা তারা করছে। এরা যখন জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে আসবে, তখন হামলার সংখ্যা বাড়বে।

হিজরতসহ যে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতা রোধে অভিযানের পাশাপাশি ডি-রেডিক্যালাইজেশন প্রক্রিয়া জোরদার করার পরামর্শ অপরাধ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!