নীরবতা ভেঙে শক্তিশালী প্রতিজ্ঞা এমবাপ্পের
<![CDATA[
ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর জন্য চেষ্টার কমতি ছিল না কিলিয়ান এমবাপ্পের। তবে টাইব্রেকারে সতীর্থদের ব্যর্থতায় কাতারে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হলো না গোল্ডেন বুটজয়ী এ তারকার। খেলা শেষ হতেই তিনি হয়ে গিয়েছিলেন নির্বাক। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সান্ত্বনায়ও মন গলেনি তার। অবশেষে নীরবতা ভেঙেছেন ২৩ বছর বয়সী এ তারকা।
বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গের এক দিন পর সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এক টুইটে এমবাপ্পে লেখেন, ‘আমরা আবার ফিরে আসব।’
এর মাধ্যমে এমবাপ্পে যে ২০২৬ সালে বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেছেন, সেটা একটি ছবির মাধ্যমেই স্পষ্ট করেছেন তিনি। যেখানে বিশ্বকাপ ট্রফি স্পর্শ করতে না পারার বিষণ্নতা ফরাসি তারকার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে।
এর আগে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১২০ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হলে শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় ফরাসিরা।
আরও পড়ুন: মেসিকে কেন আলখাল্লা পরিয়ে দিলেন কাতারের আমির?
লুসাইলে শিরোপা জেতার জন্য চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি এমবাপ্পে। ৭৯ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা দলকে মাত্র দুই মিনিটে জোড়া গোল করে সমতায় ফেরান তিনি। এরপর অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা লিড পেলে এগিয়ে গেলে আবার দলের ত্রাতা হয়ে গোল উপহার দিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে।
আর তাতে তিনি ৫৬ বছরের একটি পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসান। ১৯৬৬ সালের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট জার্মানির বিপক্ষে দলকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন। ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে তার পর ২০২২ সালে এসে এ রেকর্ড গড়লেন এমবাপ্পে। আসরে সব মিলিয়ে ৮ গোল করেন সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়ে তিনি জেতেন গোল্ডেন বুটও। তবে দলকে জেতাতে পারেননি শিরোপা।
আরও পড়ুন: মেসি নেইমার এমবাপ্পেকে আনার পরিকল্পনা বাফুফের
টাইব্রেকারে তিনি গোল পেলেও অরলিঁয়ে চুয়ামেনি ও কিংসলে কোম্যানরা হতাশ করেন তাকে। তাতে ১২০ মিনিট ধরে জিইয়ে রাখা স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটে। অবশ্য এমবাপ্পে চার বছর আগেই জিতেছেন ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ সোনালি ট্রফি। সেবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে ৪-২ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন এ ফরাসি তারকা।
আর তাতে দুই আসরের ফাইনাল মিলিয়ে ৪ গোল করে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন চার কিংবদন্তিকে। এর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট, ব্রাজিলের ভাভা ও পেলে এবং ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। চারজনই করেছেন ৩টি করে গোল।
]]>