নীলফামারীতে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
<![CDATA[
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় তিন সন্তানের জননী রেনু আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কারেঙ্গাতলী এলাকায় নিজ ঘরের বিছানার উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রেনু আক্তার একই এলাকার খায়রুল ইসলামের মেয়ে ও সৈয়দপুর উপজেলার মিস্ত্রীপাড়ার গোলাম মোস্তফা বুলুর স্ত্রী।
রেনুর ছোট বোন খাদিজা আক্তার মনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে চিলাহাটিতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে আমার বোন ও দুলাভাই বাচ্চাদের নিয়ে তাদের নতুন বাড়িতে যায়। সেখানে রান্না করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দুলাভাইকে ফোন দিয়ে বলি, রাতের খাবার নিয়ে আমি যাচ্ছি আপনাদের ওখানে। দুলাভাই আমাকে বলেন, তোমাকে আসতে হতে না, আমিই যাচ্ছি। আমাকে তিনি তাদের নতুন বাড়িতে যেতে দেননি। হয়তো তিনি আমার বোনকে তখন মেরে ফেলেছেন। কিংবা মেরে ফেলবেন। তাই আমাকে সেখানে যেতে দেন নাই।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় যুবকের ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার
রেনুর বাবা খায়রুল ইসলাম জানান, প্রায় ৯-১০ বছর আগে সৈয়দপুর উপজেলার মিস্ত্রী পাড়া এলাকায় গোলাম মোস্তফা বুলুর সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বুলু রেলওয়ের খালাসি হিসেবে চাকরি করত। সে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সৈয়দপুর হতে চিলাহাটিতে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, আমার জামাই আমার মেয়েকে মেরে ফেলে পালিয়ে গেছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রেনুর বাবা দাবি করছে তার জামাই তার মেয়েকে হত্যা করেছে। তার জামাইকে আমরা খুঁজে পাইনি। হত্যা মামলা গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>




