নীলফামারীতে চাষ হচ্ছে ব্ল্যাক রাইস
<![CDATA[
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্ল্যাক রাইস নামে বিদেশি জাতের একটি ধানের চাষ শুরু হয়েছে। কৃষক আ ন ম শফিকুল ইসলাম বাবুর হাত ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুরেও এ জাতের ধান শুরু হয়েছে। চাষিদের দাবি এ ধানের ভাত ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, ফসল ওঠার পর এ জাত নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর দেওয়ানী পাড়া এলাকার শিক্ষিত কৃষক আ ন ম শফিকুল ইসলাম বাবু। কৃষক পরিবারের সন্তান বাবু উচ্চ শিক্ষা শেষ করলেও তার মূল আগ্রহ কৃষি কাজে। তাই লেখাপড়া শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষি কাজে নিযুক্ত হন। পৈত্রিক জমিতে বিভিন্ন রকমের প্রয়োজনীয় চাষাবাদের পাশাপাশি নতুন জাতের কৃষিপণ্য চাষে তার বেশ আগ্রহ রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলক আবাদ করেছেন। অল্প পরিসরে হলেও নতুন নতুন জাতের ফসল আবাদ করা তার শখে পরিণত হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া মাত্র আধা কেজি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধক পুষ্টি ও জিংক সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস ধানের আবাদ শুরু করে। চলতি আমন মৌসুমে আ ন ম শফিকুল ইসলাম বাবু ২২ শতাংশ জমিতে এ ধান আবাদ করছেন। ফলন ও বাজারজাতের গুরুত্ব বুঝে আবাদের সম্প্রসারণ ঘটাতে চান এই কৃষক।
ব্ল্যাক রাইস চাষি বাবু বলেন, ‘পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ চালের ভাত ক্যান্সার ও ডায়াবেটিক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ কালো চাল শহরের সুপার শপগুলোতে তিনশ থেকে চারশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।’
আরও পড়ুন: হিলিতে ক্যানসার প্রতিরোধী ব্ল্যাক ধানের চাষ
কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনও এ ধানের ব্যাপারে খুব একটা অবগত নন। তবে ধান কাটার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সৈয়দপুর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা বলেন, ফসল কাটার পর ফলন ও চালের পুষ্টিগুণ বিবেচনায় নিয়ে চাষিদের এ ধান আবাদে সহযোগিতা করবো।
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, জাপান, চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা ব্ল্যাক রাইস এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। কুমিল্লা, নওগাঁ, চট্টগ্রাম ও ঠাকুরগাঁওসহ কয়েকটি জেলায় এ জাতের ধান আবাদ শুরু হয়েছে।
]]>