নীলফামারীতে ব্যস্ততার শেষ নেই আলু চাষিদের
<![CDATA[
উত্তরের জনপদ নীলফামারীর আলু চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম আলু ওঠানো ও আলু লাগানোর কাজে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগাম আলুর উৎপাদন মোটামুটি ভালো হলেও আবাদে বেশি খরচ হওয়া ও দাম না পাওয়ায় হতাশ চাষিরা।
নীলফামারীতে এবার ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বীজ রোপণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগাম আলু প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১২ টন করে পেলেও অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে বাজারে আলুর দাম কম পাওয়ায় চাষিরা হতাশ। তা ছাড়া এবার আগাম আলু উৎপাদনে খরচও পূর্বের তুলনায় বেশি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বারের উৎপাদিত আলু এখনও প্রচুর পরিমাণে হিমাগারে সংরক্ষিত রয়েছে। হিমাগারে সংরক্ষিত আলু ১৭-১৮ টাকা কেজি দরে কিনে বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেমন আলুতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তেমনি চাষিরাও আগাম আলুতে চাহিদামতো দাম পাচ্ছে না।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, আগাম আলু ওঠার প্রথম দিকে কিছুটা উৎপাদন কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হয়েছে। বর্তমানে দাম কিছুটা পড়ে গেলেও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দাম কম হলেও লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: দেশে প্ল্যান্ট টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বীজ আলু উৎপাদন
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নীলফামারীর উপ-পরিচলাক কৃষিবিদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের জেলার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ জেলা আলু চাষে উপযোগী হওয়ায় এবারও আমরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি জানান, নীলফামারী জেলায় এবার মোট আলু উৎপাদন হবে ৫ লাখ ২০ হাজার ৮০ টন।
]]>