বাংলাদেশ

নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: গয়েশ্বর

<![CDATA[

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত বলে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের কথামতো আদালতে আদেশ হয়। আদালত স্বাধীন নয়। সরকার যা বলে তাই হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে লাভ নেই, মুক্ত করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জেলা জাতাীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করে দলটি।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি জোর করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায় না, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায় বিএনপি। এর জন্য শেখ হাসিনা বাধা, তাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিনের শুনানি দুপুরে, আদালতের রায় ভালো কিছু আশা করি না। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে দাবি আদায় সম্ভব।

আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাস জামিন পাবেন কি না, জানা যাবে দুপুরে

এদিকে মানববন্ধনে বিএনপির নেতারা বলেন, মিথ্যা মামলায় দলের সিনিয়র নেতা মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে কারাবন্দি করে রেখেছে সরকার। অনতিবিলম্বে দলীয় নেতাদের মুক্তি দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

নেতারা অভিযোগ করেন, আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য বিরোধী মত দমনে ক্ষমতাসীনরা চক্রান্ত করছে। এ সময় যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সকল দলমতের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় মামলায় করা হয়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।

এর আগে জামিন চেয়ে বিচারিক আদালতে চারবার আবেদন করেছিলেন বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা। চারবারই খারিজ হয়ে যায়। সবশেষ সোমবার (২ জানুয়ারি) হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!