নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কখনও হারেননি মেসি
<![CDATA[
বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি থেকে আর মাত্র তিন ধাপ দূরে আর্জেন্টিনা। তবে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে লিওনেল মেসি-ডি মারিয়াদের।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। যাদের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির একটি পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে আকাশী-সাদাদের।
পরিসংখ্যান বলছে, মেসি বিশ্বকাপে খেলেছেন এমন ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পায়নি ডাচরা। আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপে মেসি দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ডাচদের। ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র। আর ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিতে দেখা দুই দলের। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছিল টাইব্রেকারে। ফলে, ডাচদের বিরুদ্ধে এখনও অপরাজিত মেসি।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে । এর মধ্যে নেদারল্যারন্ডসের ৪ জয়ের বিপরীতে আর্জেন্টিনার জয় মাত্র ৩ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফল ড্র। ফুটবলের বিশ্ব আসরে ৫ বারের দেখায় অবশ্য দুই দলের জয় সমান।
আরও পড়ুন: ডাচদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ভয় কোথায়?
দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। সে ম্যাচে ৪-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছিল ক্রুইফের নেতৃত্বাধীন নেদারল্যান্ডস। এক মাস পর ফিফা বিশ্বকাপের মঞ্চে ফের মুখোমুখি লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ডাচরা। সে হারের প্রতিশোধ ১৯৭৮ সালে তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। মারিও কেম্পেসের নেতৃত্বে ৩-১ গোলে ডাচদের হারায় আলবিসেলেস্তেরা।
ফিফা বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা লড়াই ফের বিশ্ব ফুটবল দেখে ১৯৯৮ সালে। ফ্রান্সে আয়োজিত ওই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে আসর থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। এরপর এশিয়ায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ বাদ দিয়ে ফের দুই দলের দেখা হয় ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বে লড়াইয়ে দুই দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
আরও পড়ুন: ডাচদের বিপক্ষে গোল পেলেই যে মাইলফলক ছোঁবেন মেসি
৮ বছর পর, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল মেসি-মেম্ফিস ডিপাইরা। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে দুই দল ১২০ মিনিট খেলেও কেউ কারো জালে বল জড়াতে পারেনি। শেষ পর্ন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে সার্জিও রোমেরোর নৈপুণ্যে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখে আর্জেন্টিনা।
]]>