নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৪৫
<![CDATA[
নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এ পর্যন্ত ৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিমানটি পোখারার কাসকি জেলায় বিধ্বস্ত হয়।
নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের বেসরকারি বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইনসের এটিআর-৭২ মডেলের বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। বিমানটি ৬৮ যাত্রী এবং চার ক্রু নিয়ে পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং নতুন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে বিধ্বস্ত হয়।
ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বারতাউলা বলেছেন, ‘আমরা এখনও জানি না, এ দুর্ঘটনায় কেউ জীবিত রয়েছেন কি না।’
আরও পড়ুন: ল্যান্ড করার ১০ সেকেন্ড আগে বিধ্বস্ত হয় নেপালের বিমানটি
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, পোখারা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটি পোখারা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিধ্বস্ত হয়।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বিমাটির পাইলট বিমানবন্দরের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। তাকে অনুমতি দেয়াও হয়। কিন্তু একটু পরই পাইলট বিমানবন্দরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। এবারও তাকে অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এবার ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় পোখরা ভ্যালির আবহাওয়া বিমান ল্যান্ডিংয়ের প্রতিকূল ছিল না। তারপরও কেন দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪০
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, আইরিশ একজন, কোরীয় নাগরিক দুজন, আর্জেন্টিনা এবং ফরাসি নাগরিক একজন করে। দুই কোরীয় নাগরিক কোন কোরিয়ার সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মোট ৬৭ জনের নাগরিকত্ব জানা গেলেও বাকি একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
]]>