নোয়াখালীতে লুটের মাল ও অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার
<![CDATA[
নোয়াখালীতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি শাবল, তিনটি দা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের আলাদা স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের ছানা উল্যার ছেলে খোরশেদ আলম টিপু (৩৭), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়ার মহিষ চর গ্রামের নূর নবীর ছেলে নূর কাশেম মোহন (২৬), ভোলার তজুমদ্দিনের দক্ষিণ চাচড়া গ্রামের সোলো মাঝির ছেলে ইউছুফ (৩৫), নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর বাগ্গা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফারুক (৪০), বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে মুরাদ হোসেন (২৫), সদর উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মনশাদ হানিফের ছেলে রুবেল (২৬) ও সেনবাগ উপজেলার গাজীরহাট গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম (৩৫)।
আরও পড়ুন: যাত্রীবেশে নৈশকোচে ডাকাতি, গ্রেফতার ৩
পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড পূর্বপাড়া চাঁদ মিয়া বেপারি বাড়ির জাকির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতিকালে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত ওই বাড়ির জাকিরের বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল ওই ঘর থেকে প্রায় ৩১ ভরি স্বর্ণ, দুটি ডায়মন্ড সেট, নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হকের নেতৃত্বে রোববার রাতে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের আলাদা স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণগুলো ও তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
]]>