নৌ-দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল: রেলমন্ত্রী
<![CDATA[
নৌকাডুবির ঘটনা পঞ্চগড়ের মানুষ কখনো দেখেনি। এখানে প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। আমাদের লোকও দেখেনি, ঘাটের লোকও দেখেনি। এ ঘটনায় যেমন আমাদের অবহেলা ও গাফিলতি রয়েছে, তেমনি যারা যাত্রী হিসেবে যাচ্ছিল তাদেরও গাফিলতি রয়েছে। ঘাটে যারা দায়িত্বে ছিল তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি এটাই চিরন্তন সত্য বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে নৌকাডুবিতে মৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঘাটে কর্মরতরা কাজে অবহেলা করেছে। এর ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদি কর্মরতরা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো তাহলে দুর্ঘটনা ঘটত না।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কারা দায়িত্ব পালন করেছে, আর কারা করেনি তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে। এরপরই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নিহতদের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসক এর পক্ষে ২০ হাজার টাকা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা ও রেলমন্ত্রীর পক্ষে থেকে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ / চতুর্থ দিনেও করতোয়ায় ভেসে উঠল আরেক মরদেহ
প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহালয়ার পূজা উপলক্ষে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে করতোয়া নদী নৌকা দিয়ে পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীপংকর রায়কে প্রধান করে একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। সেখানে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে উদ্ধার তৎপরতার কারণে আরও তিনদিন বাড়িয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজ রয়েছে আরও তিনজন।
]]>