বিনোদন

পটকা মাছ খেয়ে মা-ছেলের মৃত্যু

<![CDATA[

খুলনায় রান্না করা পটকা মাছ খেয়ে বিষক্রিয়ায় মা পরী বেগম (৬০) ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আরেক সদস্য জাহাঙ্গীরের খালাতো ভাই সাইদুলকে (৩০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেলে পটকা মাছ খাওয়ার পর অসুস্থ হলে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মা পরী বেগম এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ছেলে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের আরেক সদস্য জাহাঙ্গীরের খালাতো ভাই সাইদুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পরী বেগম দুপুরে রূপসা নদী থেকে পটকা মাছ ধরে রান্না করেন। পরে ছেলে জাহাঙ্গীর ও বোনের ছেলে সাইদুলকে নিয়ে রান্না করা মাছ খান। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে সবাইকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পরী বেগম মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীরেরও মৃত্যু হয়। আর জাহাঙ্গীরের খালাতো ভাই সাইদুল এখনও চিকিৎসাধীন। পরিবারের দু’জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাঁচানো গেল না নবজাতকের মা মোসলেমাকে

মৃত পরী বেগমের আরেক ছেলে জানান, পটকা মাছ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে বমি করেন তার মা ও ভাই। আমরা প্রথমে মনে করেছি, স্ট্রোক করেছে। পরে অসুস্থ বেশি হলে টাকা ধার করে মা ও ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পথে মা এবং হাসপাতালে নেয়ার পর ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশী সালমা বেগম জানান, সন্ধ্যার পর অসুস্থতার খবর পেয়ে দেখি দু’জন অসুস্থ হয়ে বমি করছে। ওই বমি খেয়ে একটি মুরগি সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। পরে তাদের তিনজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে জানতে পারি তাদের মা ও ছেলে মারা গেছে।

আরও পড়ুন: ইনজেকশন পুশ করতেই কাঁপতে কাঁপতে মারা গেল শিশুটি

তারা পটকা মাছ খেয়েছিলেন বলে বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন।

পরে লবনচরা থানা পুলিশ এসে মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে পটকা মাছ খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। 

লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের মনে হচ্ছে পটকা খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এ দু’জনের মৃত্যু হয়।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!