পটুয়াখালীতে চার বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ
<![CDATA[
পটুয়াখালীতে সাড়ে চার কোটি টাকার সেতুর নির্মাণকাজ ঝুলে আছে চার বছর ধরে। নানা অজুহাতে চার দফা কাজের মেয়াদ বাড়ালেও নির্মাণকাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিজেদের অর্থায়নে সেতুর পাশেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। আর কাজ শেষ না করা হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতুর পাশেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে শিশু ও বয়স্করা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালী খালের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয় ২০১৮ সালে। পরের বছর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজও হয়নি। চলাচলের জন্য এলাকাবাসী নিজেরাই বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করেন সাঁকো। তবে চার বছরেও সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইল /নির্মাণাধীন সেতুতে ধস, তিন প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত
এলাকাবাসী জানান, দুদিন আগেই এক নারী তার বাচ্চাসহ নিচে পড়ে যান। এ ছাড়া এলাকায় প্রচুর তরমুজ চাষ হয়। এসব তরমুজ ও সার পারাপারে কৃষকদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
৬০ মিটার দীর্ঘ ও ৭ দশমিক৩২ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে ২০ মিটার করে তিনটি স্প্যান বসানোর কথা। এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে মাত্র দুটি। তবে আগামী দেড় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।
আরও পড়ুন: দুই সেতু পাল্টে দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির জীবনযাত্রা
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পল্লী স্টোরের ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা বলেন, ‘আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমরা বাকি কাজটুকু শেষ করে দেব।’
শিগগিরই কাজ শেষ না করা হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এলজিইডি রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তিন-চারবার চিঠি দিয়েছি। এখন যে সময় দিয়েছে, সে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়েছে, দ্বিতীয় সেতু চান মেহেরপুরবাসী
এলজিইডির তথ্যমতে, সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
]]>




