পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর ঘিরে পাল্টে যাচ্ছে পটুয়াখালী শিল্পনগরীর চেহারা
<![CDATA[
পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর ঘিরে পাল্টে যাচ্ছে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মুখ থুবড়ে থাকা পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীর চেহারা। নতুন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসায় গড়ে উঠছে ছোট-বড় শিল্পকারখানা। যা অর্থনীতিতে দক্ষিণাঞ্চলকে দিচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর হাতছানি। ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রুত বিসিকের সড়ক সংস্কারের। এ অবস্থায় নতুন একটি শিল্প নগরী গড়ে তোলার আশ্বাস বিসিক কর্তৃপক্ষের।
১৯৮২ সালে পটুয়াখালী জেলা শহরের লাউকাঠি নদীর কোল ঘেঁষে সাড়ে ১৫ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে বিসিক শিল্পনগরী। দীর্ঘ সময় অর্থনীতিতে দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলা পিছিয়ে থাকলেও পায়রা বন্দর ও পদ্মা সেতু চালুর পর শুরু হয়েছে পরিবর্তন। গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন শিল্প কারখানা।
এরইমধ্যে দু’টি ওষুধ তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে তৈরি ওষুধ অল্প সময়ে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। এখানে উৎপাদনে রয়েছে ময়দার মিল, প্লাস্টিক কারখানাসহ ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষের। তবে এখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি সড়ক সংস্কারের দাবি ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিসিকের নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা
এদিকে এ নগরীর উন্নয়নে চলতি বছরের মধ্যেই জেটি ঘাটের কাজ সম্পন্ন করা ও নতুন আরও একটি শিল্প নগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস বিসিক কর্মকর্তার।
পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন জানান, বিসিকের ১০১টি প্লটের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে ৯৬টি প্লট। সেই সঙ্গে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।ঃ
আরও পড়ুন: সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহীর বিসিক শিল্পনগরী
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালে গড়ে ওঠা এ শিল্প নগরীতে মোট ১০১টি প্লটের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে ৯৬টি। নতুন করে আবেদন রয়েছে আরও ৬টির। শহরতলী আউলিয়াপুর এলাকায় ইপিজেড নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান। সবগুলো প্রতিষ্ঠান চালু হলে পাল্টে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি।
]]>




