পদ্মাসেতু রেল প্রকল্পের ২ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ
<![CDATA[
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার পাগলাস্থ পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্প থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের পাগলা শাখার এরিয়া সেফটি অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করা হলেও শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ পায়। তবে থানা পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে এটি ভুয়া ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যশোরে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের কাজ
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, বাদী গত ৬-৭ মাস ধরে পাগলা পদ্মা ব্রিজ রেল প্রজেক্টের এরিয়া সেফটি অফিসার হিসেবে কাজ করে আসছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময় নির্মাণাধীন রেল সংযোগ ব্রিজের ওপরে রাখা রেল ট্র্যাকের কাজে ব্যবহৃত প্ল্যাট ওয়াশার, টি-নাট, ডব্লিউ-এজাহার কাতর ও কিছু বার, গ্যাইজ বাপনি এন্ড আয়রন বেইজপ্লেটসহ আরও বিভিন্ন লৌহ উপকরণ রেল ট্র্যাকের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। ২ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে সিআরইজি কর্তৃক পরিচালিত সিকিউরিটি ফোর্স উল্লেখিত পদ্মা ব্রিজ রেল প্রজেক্টের ৩২-৩৯ পিলার পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, উল্লেখিত স্থানের রেল ট্র্যাকের সঙ্গে সংযুক্ত মূল্যবান সরঞ্জামগুলো নেই। যার মূল্য ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪০ টাকা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগের কাজ শেষের পথে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) মাহাবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘প্রায় দুই কোটি টাকার নাট বল্টু ও কিছু মালামাল চুরি দেখিয়ে একটি মামলা করেছে। তবে ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে চুরির অভিযোগের কোন মিল পাইনি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগের কাজ শেষ, মাওয়া অংশ সম্পন্ন হবে এ মাসেই
তিনি আরও বলেন, ‘যে পরিমাণ উঁচু থেকে এগুলো খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা বাস্তবে বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তে ভুয়া ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। চুরির কোনো আলামত বা সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারপরেও যেহেতু মামলা হয়েছে আমরা কাজ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>




