‘পরশকে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে’
<![CDATA[
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠী ও বন্ধুরা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধনে তারা এ অভিযোগ করেন। পরশ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। এসময় তারা দ্রুত আসামিদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
ইতোমধ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘পরশকে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হচ্ছে।’
এসময় শিক্ষার্থীরা বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা পরশের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দীন দ্রুত মামলার তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কানাডায় যাওয়া হলো না বুয়েট শিক্ষার্থী পরশের
নিখোঁজের তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর বনানী ঘাট থেকে ভাসমান অবস্থায় পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-থানা পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ৫ নভেম্বর একটি পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। তবে পরেরদিন সাড়ে ১১টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সবশেষ অবস্থান পাওয়া যায় রামপুরা থানায়।
মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ পরশের এক বান্ধবীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ শনিবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাদক কিনতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নিহত হয়েছেন- এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই। কে বা কারা কেন তাকে খুন করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, পুরো বিষয়টি উদ্ঘাটন শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। এসময় পরশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, ‘ফারদিনের মোবাইলের ডাটা এনালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় সে যার সঙ্গে কথা বলেছে সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারে। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।’
হারুন অর রশিদ জানান, বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা এবং রহস্য উন্মোচনে ডিবি কাজ করছে। এমন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
]]>