বিনোদন

পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার খুললেই ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

<![CDATA[

পাবলিক পরীক্ষার আগে দেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়। অভিভাবকরা সন্তানদের কোচিং সেন্টারে না পাঠালেই কোচিং সেন্টারগুলো এমনিতেই বন্ধ থাকবে। এরপরও যদি কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন পাঠ্যক্রম বিষয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। এমনকি কেউ প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আরও পড়ুন: ১৫ জুন থেকে বন্ধ কোচিং সেন্টার

দীপু মনি বলেন, প্রচলিত শিক্ষাক্রমের নবম শ্রেণি থেকে গ্রুপভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একই ধারার পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। দশম শ্রেণি শেষে প্রথম পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগামী বছরের শুরু থেকেই ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠদান শুরু হবে। সম্পূর্ণ নতুন এই ব্যবস্থায় শিক্ষকদের পাঠদান উপযোগী করে তুলতেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু করতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ চলবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বছর শেষে মূল্যায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে আমরা নতুন কারিকুলামের রূপরেখা তৈরি করেছি। প্রতিবছর এটি ক্লাসভিত্তিক বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার তিনটি ধারার মধ্যে সমন্বয় করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম। 

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!