পাকিস্তানে এক বছরে ২৬২ সন্ত্রাসী হামলা, ৪১৯ জনের মৃত্যু
<![CDATA[
২০২২ সালে পাকিস্তানে ২৬২টি সন্ত্রাসী হামলায় ৪১৯ জন মারা গেছেন। ইসলামাবাদ ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজ (পিআইপিএস) এ তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো দেশটিতে ক্রমাগত সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘পাকিস্তান সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০২২’ শিরোনামে পিআইপিএসের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহী, ধর্মীয়ভাবে অনুপ্রাণিত জঙ্গি এবং সহিংস সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলো গত বছর পাকিস্তানে মোট ২৬২টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সহিংসতা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।
সেইসঙ্গে ২০২২ সালে এসব হামলায় নিহতদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের ৪১৯ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি ৭৩৪ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে তেল শোধনাগার নির্মাণের প্রস্তাব সৌদির
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় যাদের প্রাণ গেছে, তাদের প্রায় অর্ধেক নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মী। এছাড়া নিরাপত্তাবাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আরও ২৩৪ সদস্য এসব হামলায় আহত হয়েছেন।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপের মতো স্থানীয় তালেবান গোষ্ঠী, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) এবং অন্যান্য অনুরূপ জঙ্গি গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে ১৭৯টি হামলা চালিয়েছে গত বছর। এতে ২৫০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৬২ জন। এই গোষ্ঠীগুলো ২০২১ সালে ১২৮টি হামলা চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন : ‘মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ঘাটতি পাকিস্তানকে মানবিক সংকটের দিকে নিচ্ছে’
বিভিন্ন বেলুচ ও সিন্ধি জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী ৭৯টি হামলা চালিয়েছে ২০২২ সালে। তাতে ৯৭ জনের প্রাণহানি এবং মোট ২৫৯ জন আহত হন। ২০২১ সালে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ৭৭টি হামলা চালিয়েছিল।
পিআইপিএস বলছে, গত বছর পাকিস্তানে সংঘটিত মোট ২৬২ সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে ১৬৯টি বা ৬৪ শতাংশের বেশি ঘটেছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। ২০২১ সালের তুলনায় সেখানে হামলা বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় হামলায় গত বছর ২৯৪ জনের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন ৩৯৩ জন। তার আগের বছর প্রদেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
]]>