বাংলাদেশ

পাকিস্তানে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার করতে চায় সৌদি আরব

<![CDATA[

বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের অর্থনীতিকে বাঁচাতে দেশটিতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সৌদি আরব। দেশটিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে সৌদি।

ব্লুমবার্গের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান পাকিস্তানে সহায়তা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পথ খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যন্ত দক্ষিণ এশীয় দেশটির অর্থনীতিকে সহায়তা করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমানত ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার উন্নীত করার জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করবে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনাও মূল্যায়ন করবে সৌদি সরকার।

প্রসঙ্গত, মিত্রদেশগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ভীত শক্তিশালী করতে সৌদি আরবের এ তহবিল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সফট লোন ও অনুদান দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে বাঁচাতে ৯ বিলিয়ন ডলার দেবে দাতা দেশগুলো

এদিকে সোমবার (৯ জানুয়ারি) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানো এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার উপায়গুলো পর্যালোচনা করতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাক্ষাত করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির। যার এক দিন পরেই বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি প্রকাশ্যে আসে।

করাচি ভিত্তিক আরিফ হাবিব লিমিটেডের গবেষেণা প্রধান তাহির আব্বাস বলেছেন, ‘পাকিস্তানে একটি শোধনাগার স্থাপনে এ বিনিয়োগ ব্যবহার করা হবে। এর জন্য পাক সরকারকে শোধনাগার নীতি চূড়ান্তকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দিতে হবে।’

এর আগে গত মাসে পাকিস্তানকে ১ বছরের জন্য ৪ শতাংশ সুদে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল সৌদি আরব। সে সময়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান বলেন, ‘সৌদি সরকার পাকিস্তানকে সহায়তা করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করবে।’

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা প্রায় ৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের আমদানি খরচ মেটাতে পারবে পাকিস্তান। ফলে দেশটি ডলার সাশ্রয়ে কঠোরতম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে। 
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!