পাবনায় নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধে মানববন্ধন
<![CDATA[
দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়িশিল্পকে রক্ষায় নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মালিক ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন শেষে পাবনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের কাছে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেয়া হয়।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে: নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া ও শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: নকল বিড়ি বন্ধের দাবিতে বগুড়া কাস্টমস অফিস ঘেরাও
পাবনা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলামের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, ভাঙনকবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়িশিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে তারা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রকৃত বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থে শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
]]>




