পিরোজপুরে সাবেক ভিপি মুক্তা হত্যায় সব আসামি খালাস
<![CDATA[
পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা (২৯) হত্যা মামলার আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালো, লখাকাঠী এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে মো. রসূল, ঝাটকাঠী এলাকার বারেক শেখের ছেলে মো. রাজ্জাক শেখ এবং বাজুকাঠী এলাকার আমির হোসেন সরদারের ছেলে সিপন।
নিহত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার মীর আবদুর রবের ছেলে।
আরও পড়ুন: তথ্যে গড়মিল: বরিশালে ১৩২ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের তৎকালীন ভিপি মেজবাহ উদ্দিন মুক্তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এ ঘটনায় মেজবাদ উদ্দিন মুক্তার বাবা মীর আবদুর রব বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা মারা যায়। মামলার অভিযোগ তদন্ত করে পিরোজপুর সদর থানার এস আই আবুল বাসার ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট ৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে আদালতের বিচারক ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় নারী কর্মকর্তার অভিযোগ
রায় ঘোষণার সময় নিহত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তার পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল ইসলাম।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান।
]]>




