বাংলাদেশ

পিলখানা হত্যা / হাসিনা, নানক, সেনা কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের আসামি করার ঘোষণা

Staff Reporter

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ তাপস, শেখ সেলিম, নানকসহ তৎকালীন মিলিটারি অফিসার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় সংঘটিত হয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড। প্রাণ যায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের। এরপর ১৫ বছর কেটে গেলেও হয়নি বিচার।


নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনদের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহের নাম দিয়ে নানানভাবে ধামাচাপার চেষ্টা করেছে তৎকালীন সরকার। হত্যাকাণ্ড নিয়ে হওয়া সব তদন্ত প্রতিবেদন জনগণের সামনে আনার দাবিও তাদের।


বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, সেদিনের হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত।

শিগগিরই পিলখানা হত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন স্বজনহারা পরিবার। আসামি করা হবে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
 
এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণাসহ ৫ দাবি জানান শহীদ কর্ণেল মুজিব আহমেদের স্ত্রী নাহিদ ফেরদৌস।

দাবিগুলো হলো-
১. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে হওয়া সকল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক।

২. ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হোক।

৩.  ৫৭ জনকে শহীদের মর্যাদা দেয়া হোক এবং দেশে ও দেশের বাইরে এটি বাস্তবায়ন করা হোক।

৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উপযুক্ত সময়ে পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

৫. বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে দোষী ও নির্দোষ সকলকে ন্যায় বিচার দেয়া হোক।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!