‘পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি’
<![CDATA[
দেশের সার্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ জন্য লাভজনক বড় বড় কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহী করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
তারা বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রকৃত জ্ঞান কম থাকায় বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না অনেকেই। এ সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো ঠিক করার ওপর গুরুত্ব দেন সংশ্লিষ্টরা।
বক্তারা বলেন, আমরা যদি বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত করতে পারি, তাহলে কারসাজির মাত্রা যেমন কমে আসবে, তেমনি বিপর্যয়ের আশঙ্কাও কমে আসবে। আর সেটা যদি করা না যায়, তবে মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগে তাদের উৎসাহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে রফতানি বাণিজ্য হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করতে ক্যাপিটাল মার্কেটকে আস্থাশীল করার ওপর গুরুত্ব আসে বৈঠকে। এ সময় পুঁজিবাজার অস্থিতিশীলকারীদের রুখে দিতে ব্যক্তিসচেতনতার ওপর জোর দেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, এখানে যত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, ততই এনবিআরের সুবিধা হবে। আপনাদের আর বেশি খেয়াল করতে হবে না। আমরাই আপনাদের টেক্স আদায়ের ব্যবস্থা করব।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে আরও সমৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি বলেও মত দেন বক্তারা।
]]>