পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে ১০ আসামি
<![CDATA[
কিশোরগঞ্জে আইনজীবীর দায়ের করা মারধরের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়েছে ১০ আসামিকে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বাকি ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. রফিকুল বারীর আদালতে হাজির হন তারা।
মামলার আসামিরা হলেন: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের খালের পাড় গ্রামের মো. রাসেল মিয়া (৪০), মো. জুবায়ের মিয়া (৩৭), মো. ফাইজুল ইসলাম (৫০), মো. কফিল উদ্দিন (২৮), মো. রাজিব মিয়া (২৫), মো. মকবুল হোসেন রুবেল (৩৪), মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. নজরুল ইসলাম (৪৮), আ. মালেক (৬০) ও মো. আ. কাইয়ুম ধনু মিয়া (৬০)।
এদের মধ্যে মো. রাসেল মিয়া, মো. জুবায়ের মিয়া ও মো. ফাইজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠান আদালত।
আরও পড়ুন: হাজিরা দিতে এসে আদালত প্রাঙ্গণে আসামির মৃত্যু
জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কিশোরগঞ্জ আদালত চত্বরে উকিল সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকের একপর্যায়ে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রউফ মামলা দায়ের করেন। এ সময় ১২ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট ১০ জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু আসামিরা কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির হতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে হাইকোর্টে আবেদন করলে আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট ১০ জনকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া উৎপল জানান, মামলার বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় আসামিরা নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি মনে করেছেন। এর আগেও নির্বিঘ্নে আসামিরা আদালতে হাজির হয়েছেন। আজকেও তারা নির্বিঘ্নে আদালতে হাজির হয়েছেন।
]]>




