পেরেরা-ইমাদের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি সিলেটের
<![CDATA[
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের তোপে মাত্র ৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংস। সেখান থেকে অষ্টম উইকেট জুটিতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ৮০ রান তুলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের হয়ে পেরেরা ৪৩ ও ইমাদ ওয়াসিম ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার বোলারদের পক্ষে ২টি করে উইকেট তুলে নেন হাসান আলি ও মুকিদুল ইসলাম।
চলতি বিপিএলে অপ্রতিরোধ্য সিলেট স্ট্রাইকার্স। একে একে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছে তারা। টানা পাঁচ জয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা মাশরাফীর দল ষষ্ঠ ম্যাচে এসে ব্যাট হাতে কিছুটা ব্যাকপুটে। অবশ্য পেরেরা-ইমাদ জুটি তাদেরকে স্বল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়তে দেয়নি।
আরও পড়ুন: তামিমের অর্ধশতকে আসরের প্রথম জয় খুলনার
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা কুমিল্লার পেসারদের রোষানলে পড়ে। দলের খাতায় ২০ রান যোগ হতেই একে একে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস (৭), আকবর আলী (১) ও জাকির হাসান (৯)। হারিস ও জাকিরকে ফেরান হাসান আলি। আকবরের উইকেট তুলে নেন আবু হায়দার। ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে ধরার চেষ্টা করেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সঙ্গ দিতে চতুর্থ উইকেটে ক্রিজে আসেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।
তবে দলের বিপদে এদিন সিলেটের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। তাকে জনসন চার্লসের ক্যাচে পরিণত করেন পেসার মুকিদুল ইসলাম। ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া সিলেটের অন্যপ্রান্তটাও আর আগলে রাখতে পারেননি শান্ত। এক বল বিরতি দিয়ে তিনি বোল্ড হন মুকিদুলের বলেই। একই ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন শরিফুল্লাহ (১)।
আরও পড়ুন: বিরতিতে ধারাবাহিকতা হারানোর ভয় বরিশালের
কোনো রান তোলার আগেই পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন ৫ বল মোকাবিলা করা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তাকে নিজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত করে বোল্ড করেন তানভীর ইসলাম। মাত্র ৫৩ রানে ৭ উইকেট তুলে সিলেটের ইনিংসে একেবারে ধ্বস নামিয়ে দিয়েছিল কুমিল্লার বোলাররা। শঙ্কা জেগেছিল ৭০ বা ৮০ রানের মধ্যে সিলেটের অলআউট হয়ে যাওয়ার।
কিন্তু অষ্টম উইকেটে দলের ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়ান ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা। তাদের ৮০ রানের অনবদ্য জুটিতে লড়াকু পুঁজি পায় সিলেট। ৩১ বলে ২ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান ব্যাটার পেরেরা। ৩৩ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন পাক অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম।
]]>




