পেলে ইউরোপে খেলেননি কেন?
<![CDATA[
সিনিয়র ক্যারিয়ারে পা দিয়েছেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ফুটবল পেশাদার ক্যারিয়ারে ২২ বছর কাটিয়েছেন পেলে। তবে কখনো ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলা হয়নি ফুটবলের মহাতারকার। এমন না যে, ইউরোপের কোনো ক্লাব তাকে পেতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশ ছেড়ে জেতে পারেননি পেলে।
বর্তমান সময়ে ইউরোপের ক্লাবগুলো প্রতিভাবান খেলোয়াড় খোঁজার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে। ব্রাজিলে স্কাউট করেই প্রতিবছর বের হচ্ছে রদ্রিগো, ভিনিসিউস, আলভারেজের মতো খেলোয়াড়রা। তবে ইউরোপিয়ান ক্লাবের এই স্কাউটিং সিস্টেম আগেও চালু ছিল। তখন পেলেকেও দলে ভেড়াতে চেয়েছিল অনেক ক্লাব।
ব্রাজিলের অন্যান্য নামিদামি ফুটবলাররা বিদেশি ক্লাবে খেললেও পেলের ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে তাকে বাইরে খেলতে যেতে বাধা দেয়া হয়। পেলেকে নেয়ার জন্য সান্তোস এফসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ থেকে শুরু করে এসি মিলানের মতো ক্লাবও। সে সময় ফুটবলাররা কোন ক্লাবে খেলবেন সেই বিষয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ ছিল খুব কম।
আরও পড়ুন: পেলে ছিলেন একজন সফল গোলরক্ষকও
পেলেকে ব্রাজিলে রেখে দেয়ার জন্য চাপ ছিল সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও। ১৯৬১ সালে ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জানিও কোয়াদ্রস পেলেকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে ‘রফতানি করা যাবে না’ বলে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন।
ব্রাজিলের এই ফুটবলার ইউরোপে না খেললেও পরে অবশ্য আমেরিকার একটি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন ১৯৭৫ সালে। সেই সময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফুটবল ক্লাব নিউইয়র্ক কসমসে।
১২৮১ গোলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে তিনি শতাব্দীর তো বটেই, সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবেও স্বীকৃত। তবে আধুনিক ফুটবলারদের স্বপ্ন ইউরোপের ক্লাবগুলোতে খেলা, কিন্তু সে সময়ের সেরা খেলোয়াড় হয়েও ইউরোপের কোনো ক্লাবে পেলে খেলেননি, এই আফসোসটা হয়তো রয়ে গেল পেলের।
]]>