বাংলাদেশ

পেলে-ম্যারাডোনার চেয়েও যেভাবে সেরা ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

<![CDATA[

একেক বিশ্বকাপে মাঠে একেক ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। কখনো মিডফিল্ডার, কখনো ডিফেন্ডার। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের পর কোচ হিসেবেও বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। জার্মান এই কিংবদন্তির নাম ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য তাকে কাইজার বা সম্রাট নামেও ডাকা হতো। দুই বার জিতেছেন ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। কাতার বিশ্বকাপের আগে খেলার সময়ের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ থাকছে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের গল্প।

পেলে-ম্যারাডোনা কিংবা হালের মেসি-রোনালদো এদের বিকল্প হয়তো পাওয়া যাবে না। এরা সবাই যে যার সময়ের সেরা। সর্বকালের সেরা কে? সেটাও তর্ক সাপেক্ষ। তবে ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড সকারের নির্বাচিত সর্বকালের সেরা একাদশে পেলে-ম্যারাডোনার চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে ছিলেন একজন। তিনি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার!

এই জার্মান ভদ্রলোককে একেক বিশ্বকাপে দেখা গেছে একেক ভূমিকায়। ১৯৬৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। কোয়ার্টার আর সেমি ফাইনালে ১টি করে গোলও করেন। পুরো টুর্নামেন্টে ৪ গোল করে ব্রোঞ্জ বল জেতেন। তবে এরপরেও সেই বিখ্যাত ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। হেরে গেলেও পুরো আসরে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতে নেন বেকেনবাওয়ার।

১৯৭০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে বেকেনবাওয়ারকে দেখা যায় ডিফেন্ডার হিসেবে। ৪৯ মিনিটেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬৮ মিনিটে গোল করে বেকেনবাওয়ারই ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জার্মানিকে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে ম্যাচটা জিতে নেয় জার্মানি। কিন্তু সেমিতে আবারও ইতালির কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় জার্মানরা।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

পরপর দুই বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় হাল ছেড়ে দেবারই কথা। তবে বেকেনবাওয়ার হাল ছাড়লেন না। ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’ – প্রবাদ বাক্যের মতো তাকে শতবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। তৃতীয়বারে প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছিলেন। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন এবং জার্মানিকে জেতান বিশ্বকাপ। সেবার সিলভার বল জেতেন বেকেনবাওয়ার।

এই পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন খেলোয়াড় তিনবার করে বিশ্বকাপের অলস্টার দলে সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৬৬, ১৯৭০ আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের অল স্টার দলে সুযোগ পাওয়ায় তিনি সেই দুজন খেলোয়াড়ের একজন।

এতো গেলো তার খেলোয়াড়ি জীবনের কথা। কোচ হিসেবেও শুরুতে সর্বোচ্চ সফলতার খুব কাছে গিয়েও মিস করেছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বীরত্বের কাছে হার মেনে তার দল রানার্স আপ হয়েছিল। ৪ বছর পর আবার প্রতিপক্ষ সেই একই ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। এবার জিতে নিলেন সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপা।

আরও পড়ুন: বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেন গাভি

বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন মানুষ ‘খেলোয়াড় এবং কোচ’ দুই হিসেবেই বিশ্বকাপ জিতেছেন। বেকেনবাওয়ার সেই দু’জন মানুষের একজন। খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ২ বার।|

নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য তাকে কাইজার বা সম্রাট নামেও ডাকা হতো। আধুনিক সুইপারের জনকও তিনি। তাই বিশ্বকাপ আসলেই ঘুরে ফিরে আসে কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের কথা। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!