প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, নতুন মজুরি নির্ধারণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে টানা ১২ দিন ধরে চলতে থাকা কর্মবিরতির পর চা শ্রমিকরা ১৪৫ টাকা মজুরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। রোববার (২১ আগস্ট) থেকে কাজে যোগ দেবেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে টানা ১২ দিন ধরে চলতে থাকা কর্মবিরতির পর চা শ্রমিকরা ১৪৫ টাকা মজুরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। রোববার (২১ আগস্ট) থেকে কাজে যোগ দেবেন তারা।
শ্রমিক ধর্মঘটে ১২ দিন ধরে সারা দেশের বাগান থেকে চাপাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা শিল্প। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে দেশের ২৪১ চা বাগানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছিলেন শ্রমিকরা। এরআগে তারা প্রতিদিন ২৩ কেজি চাপাতা উত্তোলন করে ১২০ টাকা মজুরি পেতেন।
এখন চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। গত কয়েক দিনে গাছে গাছে সবুজ পাতা আর কুঁড়ি অঙ্কুরিত হয়েছে। কারখানায় নিয়ে এসব পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের ঠিক এ সময়ে স্থবির হয়ে পড়ে চা-শিল্পের যাবতীয় কর্মযজ্ঞ। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়। যার মধ্যে কেবল মৌলভীবাজারেই ৩১ কোটি টাকার চাপাতা গাছে নষ্ট হয়ে গেছে।
গত ৯ আগস্ট থেকে ৩ দিন ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন দেশের ২৪১ চা বাগানের শ্রমিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) চা-বাগানগুলোর মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসার চেষ্টা করে বিভাগীয় শ্রম অধিদফতর। কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ সে বৈঠকে যাননি। এ অবস্থায় গত শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রম অধিদফতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় চা-শ্রমিকরা তাদের লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে চা-শ্রমিকের মজুরি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তবে সেই বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।