প্রবাসীর খাটের নিচে টিসিবির ১৫ হাজার লিটার তেল
<![CDATA[
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে টিসিবির ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুষ্টি কোম্পানির এ তেল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কারখানা থেকে ময়মনসিংহ টিসিবির ডিলারের গুদামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাকসহ চালানটি চলে যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে। গত ১৯ অক্টোবর এ তেলের চালানটি চুরি হয়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হামিদ পাড়া এলাকার সৌদিপ্রবাসী মুহাম্মদ নেজামের বাড়ি থেকে টিসিবির এ পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাকচালক নাজিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জব্দ তেলের মধ্যে ৭৫০টি বোতলে মোট ১৫ হাজার লিটার তেল রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে পুষ্টি কোম্পানির ফ্যাক্টরি থেকে তিন ট্রাক টিসিবির তেল ময়মনসিংহ নেয়ার পথে এক ট্রাক তেল চুরি হয়। পরে টিসিবির ডিলার আরিফ থানায় মামলা করলে তদন্ত করে ফটিকছড়িতে তেলের সন্ধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: এক কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনবে টিসিবি
মামলার বাদী আরিফ জানান, ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের ফ্যাক্টরি থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল তেল ভর্তি তিনটি গাড়ি। ৩টি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি ময়মনসিংহ না পৌঁছালে বিভিন্নভাবে খোঁজ নেয়া হয়। হদিস না পেয়ে ৩ দিন পর থানায় মামলা করা হয়। কন্টেইনার গাড়ির সহকারী নেজামের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের একটি পাকা ভবনের দ্বিতল বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে খাটের নিচে সংরক্ষণ করা ৮৪০ কার্টন সয়াবিন তেল জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩২ লাখ টাকা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সুপার অয়েল রিফাইনারি থেকে ট্রাকভর্তি সয়াবিন তেলের চালানটি ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চোরদের যোগসাজশে এটি নিয়ে আসা হয় ফটিকছড়িতে। অবশেষে কাঞ্চননগর থেকে এসব তেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা আমরা জব্দ করেছি। ট্রাকের ড্রাইভার নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
এ বিষয়ে ভবন মালিক নেজামের বড় বোন জানান, তেলের কার্টনগুলো তার স্বামী ওসমান ২-৩ দিন আগে গাড়ি করে নিয়ে এসে বাড়িতে সংরক্ষণ করে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানেন না বলে জানান।
ফটিকছড়ি থানার এএসআই ইকবাল হোসেন বলেন, দোতলা পাকা বাড়িটির ছয়টি কক্ষে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা ছিল এসব তেল। তবে ওই বাড়ির পুরুষ সদস্যরা প্রবাসী হওয়ায় কাউকে পাওয়া যায়নি।
]]>