প্রাণ ফিরে পাচ্ছে “দখল-দূষণ” থেকে ফেনীর রাজবাড়ি পুকুর
অবশেষে পুকুরটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে ফেনী জেলা প্রশাসন। সরকারি এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই ময়লা আবর্জনা অপসারণের উদ্যোগে নিয়েছে।
অব্যাহত দূষণ ও দখল থেকে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজারের পাশে অবস্থিত রাজবাড়ির ছোট পুকুরটি। দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটিকে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করতো বাজারের একশ্রেণির ব্যবসায়ী ও দখলবাজরা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে দখল করে ভবন নির্মাণের পাঁয়তারাও করছিলো একটি মহল।
বৃহস্পতিবার পুকুরটির সংষ্কার কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁঞা, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ করিম উল্লাহ মজুমদার।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, ফেনী বড় বাজারে যদি কোন ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে তা নির্বাপনের কোন ব্যবস্থা নেই, সবগুলো পুকুর দখল হয়ে গেছে। এই পুকুরটা সংস্কার করা হবে, যাতে করে এখানকার পানি অজু, গোসলসহ বিভিন্ন কাজে মানুষ ব্যবহার করতে পারে, অগ্নি নির্বাপনে পানি ব্যবহারের কাজে আসে। পৌরসভা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে পুকুরটাতে ময়লা পেলে ভাগাড় তৈরী করেছিলো, সেই পুকুরকে দেয়া হবে দৃষ্টিনন্দন রূপ।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঞা জানান, ফেনী পৌর ভূমি অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারী মালিকানাধীন ৪২ শতাংশ আয়তনের রাজবাড়ির ছোট পুকুরটি জমিদার আমলে খনন করা হয়েছিলো। পুকুরটিতে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা পেলে দূষিত করে রেখেছে স্থানীয়রা।
এছাড়াও এক শ্রেণীর ভূমি দস্যুরা এটি দখল করার জন্যও পায়তারা করে আসছিলো, যেমনিভাবে দখল করা হয়েছে পাশ্ববর্তী আন্ধি পুকুর (যেটিতে বর্তমানে নিউ মার্কেট) নামের আরেকটি পুকুর। পুকুরটিকে রক্ষা করার জন্য সরকারীভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুরো রাজবাড়ির রয়েছে ৪৫১ শতক সীমানা। তাতেও কিছু কিছু বেদখল হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তাও দখল মুক্ত করা হবে।