ফাইনালের আগে পাকিস্তানকে হারাল শ্রীলঙ্কা
<![CDATA[
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করায় সুপার ফোরে তাদের ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আনুষ্ঠানিকতার এ ম্যাচে বাবর আজম বাহিনীর বিপক্ষে লঙ্কানদের জয় ৫ উইকেটে। জয়ের নায়ক পাথুম নিসাঙ্কা, দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কুশাল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা দু’জনই ফেরেন শূন্য রানে। শ্রীলঙ্কার তৃতীয় উইকেটটি পড়ে দলীয় ২৯ রানে। পরে সমস্ত চাপ সামাল দেন পাথুম নিসাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসে মিলে। দু’জনে মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি। এ সময় ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রাজাপাকসে। ২১ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন দলপতি শানাকও। এরপর হাসারাঙ্গার ১০ ও পাথুম নিসাঙ্কাতে ভর করে জিতে শ্রীলঙ্কা। নিসাঙ্কা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে।
আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানের ‘মেন্টর’ হেইডেন
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২১ রান করে পাকিস্তান। ২৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে তাদের। এ সময় সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানী ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত প্রমোদ মদুশানের বলে কুশাল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরা রিজওয়ান ১৪ বলে করেন ১৪ রান। পাওয়ার প্লে শেষে ফখর জামান ও বাবর আজম মিলে স্কোর বোর্ডে তুলেন ৪৯ রান। পরের ১৮ বলে বাবর-ফখর জামানের ব্যাটে মাত্র ১৩ রান নিতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফখর জামানের সামনে কাল হয়ে দাঁড়ান চামিকা করুনারত্নে। চামিকার বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার তালুবন্দী হন তিনি। ১৮ বলে পাকিস্তানি ব্যাটার করেন ১৩ রান। ক্যাচ নেয়া হাসারাঙ্গা পরের ওভারে শিকার করেন ৩০ রান করা বাবর আজমকে। এটিই এবারের এশিয়া কাপে বাবরের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে তার রানের সংখ্যা হলো ৬৩।
ষষ্ঠ ওভারে পাকিস্তানের হয়ে একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন ফখর জামান। এরপর টানা ৪৬ বল ধরে বাউন্ডারি মারতে পারেনি তারা। সেই চেষ্টায় সফল হতে গিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে সীমানা দড়ির কাছে ক্যাচ দেন খুশদিল শাহ, ফলে পাকিস্তানের বাউন্ডারিখরা আরও বাড়ে। সেই খরা কাটে ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে, খুশদিল আউট হওয়ার পরের ওভারে হাসারাঙ্গার বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয় বোল্ড হয়ে। ওভারের শেষ বলে আসিফ আলিকেও আউট করেন লঙ্কান লেগ স্পিনার।
আরও পড়ুন: টানা ২ ছয় হাঁকিয়ে ব্যাটকে নিলামে তুলছেন নাসিম শাহ
৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর পাকিস্তানের সংগ্রহটা যে বড় হবে না, সেই আন্দাজ করাই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হলোও তা-ই। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওসমান কাদিরকে আউট করেন মিস্ট্রি স্পিনার মহেশ থিকশানা। শেষ দিকে নেওয়াজ ১৮ বলে ২৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন। তাকে রানআউট করেন কুশাল মেন্ডিস।
]]>