বাংলাদেশ

ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স

<![CDATA[

কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে ফ্রান্স। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ‘যোগ্য প্রতিপক্ষের’ অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে নির্ধারণ হবে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের শিরোপাধারীর নাম। ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা উভয় দলের সামনেই সুযোগ থাকছে তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ শিরোপা ঘরে তোলার।

এর আগে বুধবার (১৪ মঙ্গলবার) আল বায়ত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ চারে পা রাখা মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্রীড়া দুনিয়ার সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ট্রফি জেতার স্বপ্নে বিভোর এমবাপ্পেরা।

তবে তাদের সে স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে উড়তে থাকা আর্জেন্টিনা। প্রথম সেমিফাইনালে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা আগেই নিশ্চিত করেছে ফাইনালের টিকিট। ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা খুঁইয়েছিল মেসিরা। তবে আট বছর পর একই ভুল করতে চাইবে না আলবিসেলেস্তেরা।

আরও পড়ুন: দাপুটে মরক্কোকে হারিয়ে ফাইনালে গতিশীল ফ্রান্স

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার দেখা হয়েছে মোট তিন বার। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার দুই জয়ের বিপরীতে ফরাসিরা জিতেছে একবার। সেটাও গত রাশিয়া বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ওই ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। মেসিদের হারিয়ে ওই আসরের শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ফরাসিরা। রাশিয়ায় সে হারের প্রতিশোধ তুলে নেয়ার দারুণ সুযোগ কাতারে পাচ্ছে আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপে দুদলের প্রথম দেখা হয় ১৯৩০ সালে বিশ্ব ফুটবলের প্রথম আসরে। আর দ্বিতীয় দেখা ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে। দুই আসরেই আলবিসেলেস্তেদের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয়েছিল ফরাসিরা। সবমিলিয়ে দুদলের ১২ দেখায় আর্জেন্টিনা জিতেছে ৬ ম্যাচ। আর ফ্রান্স জিতেছে ৩ ম্যাচ। বাকি ৩ ম্যাচ ড্রয়ের খাতায় যোগ হয়েছে।

আরও পড়ুন: লড়াইয়ে নামার আগে হাকিমি-এমবাপ্পের খুনসুঁটি

এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ধাক্কা খেয়েছিল ফ্রান্স। ম্যাচটি তারা হেরেছিল ১-০ গোলে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা হোঁচট খেয়েছে সৌদি আরবের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল মেসিরা। এছাড়া বিশ্বকাপের বাকি সব ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য এ দুই দল।

তবে শেষ পর্যন্ত কারা শেষ হাসি হাসে সেটা দেখার জন্য বিশ্ব ফুটবলকে অপেক্ষা করতে হবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!